একাদশী পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য ? এ বছরের ২৬ টি একাদশীর নাম ।

একাদশী পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য ? এ বছরের ২৬ টি একাদশীর নাম ।

একাদশী পালনের মুখ্য উদ্দেশ্যঃ

একাদশীতে উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তবে কেবল অনাহারে উপবাস করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য নয়  মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে গোবিন্দ বা শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অধিক শ্রদ্ধা ও প্রেম পরায়ন হওয়া  উপ মানে নিকটে বাস মানে অবস্থান করা অর্থাৎ শ্রী হরির নিকটে অবস্থান করা  একাদশীর দিন উপবাস করার মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে শারীরিক অবশ্যকতা গুলি খর্ব করে ভগবানের মহিমা শ্রবন কীর্তন এবং অন্যভাবে ভগবানের সেবা করে সময়ের সদ্ব্যবহার করা ।

 

 ভোরে শয্যা ত্যাগ করে সুচি শুদ্ধ হয়ে শ্রী হরির মঙ্গল আরতিতে অংশগ্রহণ করতে হয়  শ্রী হরির পাদপদ্মে প্রার্থনা করতে হয় । হে শ্রীকৃষ্ণ আজ যেন এই মঙ্গলময়ী পবিত্র একাদশী সুন্দরভাবে পালন করতে পারি । আপনি আমাকে কৃপা করুন । একাদশীতে গায়ে তেল মাখা ,সাবান মাখা ,পরনিন্দা ,পরচর্চা মিথ্যা ভাষণ ,দিবা নিদ্রা, সাংসারিক আলাপ আদি বর্জনীয়

 

 এই দিন গঙ্গা আদি তীর্থ স্নান করতে হয়। মন্দির মার্জন শ্রী হরির পূজার্চনা স্তবস্তুতি গীতা ভাগবত পাঠ আলোচনা বেশি করে সময় অতিবাহিত করতে হয়। এই তিথিতে গোবিন্দের লীলা স্মরণ এবং তার দিব্য নাম স্মরণ কীর্তন করাই হচ্ছে সর্বোত্তম । শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের একাদশীতে ২৫মালা বা যথেষ্ট সময় পেলে আরো বেশি জপ করার নির্দেশ দিয়েছেন । একাদশীর দিন ক্ষৌরকর্ম আদি নিষিদ্ধ

 

 একাদশী ব্রত পালনে ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ আদি বহু অনিত্য ফলের উল্লেখ শাস্ত্রে থাকলেও শ্রীহরির ভক্তি ও কৃষ্ণ প্রেম লাভেই এই ব্রত পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য । ভক্তগন শ্রীহরির সন্তোষ বিধানের জন্যই এই ব্রত পালন করেন । পদ্মপুরাণ ,ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ,বরাহ পুরাণ, স্কন্ধ পুরাণ ও বৈষ্ণবস্মৃতিরাজ শ্রী হরিভক্তিবিলাস আদি গ্রন্থে এ সকল কথা বর্ণিত আছে

 

এ বছরের ২৬ টি একাদশীর নামের তালিকা :

 বছরে ২৬ টি একাদশী আসে । সাধারণত ১২ মাসে ২৪ টি একাদশী কিন্তু যে বৎসর পুরুষোত্তমমাস অধি মাস বা মল মাস থাকে সেই বৎসর পদ্মিনী ও পরমা নামে আরো দুটি একাদশীর আবির্ভাব হয় (২৪+২= ২৬) সর্বমোট ২৬ টি একাদশী । এইগুলি হচ্ছে উৎপন্না , মোক্ষদা সফলা, পুত্রদা, ষট্তিলা, জয়া, বিজয়া, আমলকি, কামদা, বরুথিনি, মোহিনী, অপরা, নির্জলা, যোগিনী, শয়ন, কামিকা, পবিত্রা, অন্নদা, পরিবর্তিনী বা পার্শ্ব, ইন্দিরা ,পাশাঙ্কুশা, রমা এবং উত্থান এই হল ২৪ টি একাদশীর নাম আরো অতিরিক্ত দুটি একাদশীর নাম হল পদ্মিনী ও পরমা । যারা যথাবিধি একাদশী উপবাসে অসমর্থ অথবা ব্রতদিনে সাধু সঙ্গে হরি কথা শ্রবণ কীর্তনে অসমর্থ্য তারা এই একাদশী মাহাত্ম্য পাঠ বা শ্রবণ করলে অসীম সৌভাগ্যের অধিকারী হবেন ।

 

                                                               >> হরে কৃষ্ণ<<