অহংকার কাকে বলে? অহংকার কত প্রকার কি কি? অহংকারের লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকারে উপায়ঃ Ahongkar ki?
অহংকারঃ- অহংকার বলতে বোঝায় অতিমাত্রায় গর্ব করা বা নিজের প্রতি অতিরিক্ত আসক্ত হওয়া । অহংকার মূলত অন্ধকার অর্থাৎ যেখানে কোন কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না । অহংকার, মানুষ স্বভাবের নিকৃষ্ট একটি অংশ।একে দমন করে সৎকর্মে লাগানোর মধ্যেই মানুষের কৃতিত্ব নির্ভর করে শাস্ত্রে বর্ণিত রয়েছে যদি কারো মনে এক সরিষা দানা পরিমাণ অহংকার থাকে তাহলে সে কখনোই ঈশ্বর প্রাপ্তি হতে পারে না।
অহংকার দুই প্রকার যথাঃ-
১। সত্য অহংকার
২। মিথ্যা অহংকার
১। সত্য অহংকারঃ - আমি চিন্ময় আত্মা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৃত্য দাস এইরকম যে ভাব নিয়ে কৃষ্ণের প্রীতিবিধানের উদ্দেশ্যে কর্ম করা হয় সেই ভাবকে বলা হয় সত্য অহংকার।
২। মিথ্যা অহংকারঃ- আমি এই শরীর এবং আমার শরীরের প্রীতিবিধানের জন্য আমি কর্ম করবো সবকিছুই আমার এরকম অহংকারকে বলা হয় মিথ্যা অহংকার ।
অহংকারের লক্ষণঃ-
১।দাম্ভিকতার সাথে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা।
২।অন্যজনকে নিজের তুলনায় ছোট মনে করা।
৩।অধীনস্থদের সাথে দুর্ব্যবহার করা।
৪।মানুষের সাথে নম্রতা পরিহার করে সর্বদা কঠোর আচরণ করা।
৫।অন্যের আনুগত্য ও সেবা করাকে নিজের জন্য অপমানজনক মনে করা।
অহংকারের কারণঃ-
১।জ্ঞানের স্বল্পতা
২।পদমর্যাদা
৩।বংশমর্যাদা
৪।ধন-সম্পদ
৫।খারাপ চরিত্র
অহংকার প্রতিকারের উপায়ঃ-
১।মৃত্যুর কথা সর্বদা স্মরন করা।
২।আমার প্রত্যেকটি কাজ ভগবান দেখেন এ ব্যাপারে বিশ্বাস রাখা।
৩।পরলোক গমনের পর জবাবদিহিতার ভয়ে ভীত থাকা।
৪। অন্যের সাথে খারাপ আচরণ করলে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।
৫।সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা করা।
৬।নিজের যা কিছু অর্জন সবকিছু ভগবানকে অর্পণ করা।
৭।নিজের ভুল কর্মের জন্য অনুশোচনা করা।
একজন অহংকারী ব্যক্তি নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনা। সে নিজে নিজেকে ভালোবেসে জীবন অতিবাহিত করতে চায়। তাই একজন উত্তম চরিত্রের মানুষ হতে হলে পৃথিবীর সবাইকে ভালোবাসতে হবে আর ভালোবাসতে হলে নিজের অহম্ ভাব অর্থাৎ অহংকার ত্যাগ করতে হবে তবেই একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচতে পারব। সব সময় স্মরনে রাখতে হবে কেউ চিরদিন বেচে থাকতে পারবে না। এক দিন না একদিন সবাইকে মৃত্যুকে বরন করে নিতেই হবে।