পুরুষোত্তম মাসের বিশেষ সংখ্যা -৩৩ এবং ভগবান পুরুষোত্তমের উদ্দেশ্যে দীপদান

পুরুষোত্তম মাসের বিশেষ সংখ্যা -৩৩ এবং ভগবান পুরুষোত্তমের উদ্দেশ্যে দীপদান

গোলকাধিপ্রতি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং এই মাসকে কার্তিক, মাঘ ও বৈশাখ আদি মহা পূর্ণ মাস অপেক্ষা সর্বশ্রেষ্ঠ মাস বলে স্থাপন করেছেন। 

 

 

তাই এই মাসে ভগবত কর্ম সবথেকে বেশি করতে হয় কারণ শাস্ত্রে বর্ণিত রয়েছে অন্যান্য মাসে ভগবানের উদ্দেশ্যে যে কর্ম করা হয় তা দামোদর মাসে অর্থাৎ কার্তিক মাসে তার ১০০ গুণ বেশি বৃদ্ধি পায় এবং যদি কেউ এই পুরুষোত্তম মাসে কোন ভগবত কর্ম করে তার দামোদর মাসের থেকে এক হাজার গুণ বেশি ফল লাভ করা যায় ।

 

 তাই আপনারা এই পুরুষোত্তম মাসে বেশি সংখ্যক হরিনাম জপ, ভগবানের বিভিন্ন সেবা, শাস্ত্র গ্রন্থ অধ্যয়ন অর্থাৎ ভগবানের সেবায় তৎপর থাকবেন। 

 

এ মাসে ৩৩ সংখ্যাটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাধাকৃষ্ণের উদ্দেশে ৩৩ বার দন্ডবৎ প্রণাম করবেন, রাধাকৃষ্ণের উদ্দেশে ৩৩ সংখ্যক প্রদীপ দান করবেন, রাধাকৃষ্ণেরকে ৩৩ সংখ্যক ফল ও পুষ্প প্রদান করবেন। অর্থাৎ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যেকোনো সেবায় ৩৩ সংখ্যার ব্যবহার করবেন। তাহলে ভগবান অনেক খুশি হন এবং ভগবানের অনেক  কৃপা আশীর্বাদ লাভ করা যায় এর ফলে ভগবত ধাম অর্থাৎ গোলক বৃন্দাবনে বাস করবেন হরিবোল ।

 

(পুরাণে বর্ণিত আছে, এ মাসে কৌশিক মুনি ও তাঁর পুত্র মৈত্রেয় মুনি ব্রাহ্মণ গণকে ৩০ সংখ্যর আপুপ দান করেছিলেন। আপ্‌প-আতপ ছাল,শর্করা ও মৃত দ্বারা তৈরি পিষ্টক বিশেষ)

 

ভগবান পুরুষোত্তমের উদ্দেশ্যে দীপদান-

 

ভগবান পুরুষোত্তমের তুষ্টির জন্য দীপদান করা কর্তব্য। সামর্থ্য থাকলে ঘৃত-প্রদীপ, নতুবা তিল- তৈল-প্রদীপ দেয়া উচিত। ভগবান পুরুষোত্তম কে যেভাবে প্রদীপ দেখাবেন- ভগবানের চরণে চারবার, নাভি মন্ডলে দুইবার, এবং মস্তকে তিনবার,এনং তারপর সর্বাঙ্গে সাতবার দেখাতে হবে।

 

     যোগো জ্ঞানং তথা সাংখ্যং তন্ত্রাণি সকলান্যপি ।

       পুরুষোত্তমদীপস্য কলাং নাইন্তি ষোড়শীম্ ॥

 

আনুবাদঃ

 

অষ্টাঙ্গযোগ, ব্রহ্মজ্ঞান ও সাংখ্যজ্ঞান এবং সমস্ত তান্ত্রিক ক্রিয়া পুরুষোত্তম মাসে দীপদানের ষোড়শী কলারও তুল্য হয় না।