ভগবান কে ধন্যবাদ কেন ?? Thank God why?
জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই ভালো-মন্দ অন্তর্নিহিত। যদি কেউ ভালো কাজ করে তাকে আমরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। কিন্তু এই ধন্যবাদ প্রকৃতপক্ষে কাকে দেওয়া উচিত সেটা আমরা কখনো চিন্তা করে দেখি না। কখনো ভেবে দেখি না আমরা কিভাবে বেঁচে আছি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল কিছু কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জীবনের সকল চাহিদা সকল অভাব কে পূরণ করছে। আসুন দেখে নেয়া যাক বাস্তবতা আমাদের কথায় নিয়ে যায়।
হাসপাতালে ১ ঘন্টার অক্সিজেন নিলে ১৫০ টাকা চার্জ করা হয়।।
২৪ ঘন্টায় x ১৫০ টাকা = ৩,৬০০/- টাকা।
৩০ দিনে x ৩৬০০ টাকা = ১,০৮,০০০/- টাকা।
১২ মাসে x ১,০৮,০০০ টাকা = ১২,৯৬,০০০/- টাকা।
গড়ে যদি কেউ ৬০ বছর বেঁচে থাকে থাকলে তার অক্সিজেন বিল আসে ৬০ x ১২,৯৬,০০০ টাকা = ৭,৭৭,৬০,০০০/- টাকা। এখন ঐ অক্সিজেন বিল যদি আমাদের উপর ধার্য করা হতো তবে কি হতো একবারো কি ভেবে দেখেছেন আপনি? সারা জীবনে ইনকাম করে এত টাকা পরিশোধ করতে পারবে কিনা সন্দেহ।
আমরা আমাদের বসতবাড়িতে যে ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করি তার জন্য প্রতি মাসে সরকারকে বিল পেমেন্ট করা হয়। কিন্তু আমরা কখনো ভেবে দেখেছি যে আমরা প্রতিদিন সূর্যের আলো এবং রাতে চন্দ্রের আলো ব্যবহার করছি। এতে করে আমাদের কত টাকা বিল আসতে পারে।
এভাবে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করছি। আসলেএত কিছু আয়োজনের পিছনে কার হাত রয়েছে এবংকেনই বা এগুলো আমাদের প্রেরণ করছে।
আর এটাতো আমি দুইটা উদাহরন দিলাম,আমরা ভগবানের এরকম অসংখ্য দয়া ভোগ করছি বিনা পয়সায়। সরকার আমাদের ১০/২০ হাজার টাকা বেতন দিলে আমরা সারা দিন রাত তার কাজ করি আর ভগবান আমাদের এত দয়া/সুবিধা দিয়েছেন এর জন্য আমরা ভগবানের জন্য কতটুকু সময় ব্যায় করি??
সূর্য দেব আমাদের কিরণ দিচ্ছে, চন্দ্রদেব আলো দিচ্ছে একবার চিন্তা করুন,,আরও কতো কি! এই জগৎ সংসারে তাঁর থেকে ভালো কেউ বাসতে পারে না। বিনা স্বার্থে সেঁ এত ভালোবাসে! আমরা কি পারছি যে বিনা স্বার্থে এতো কিছু দিচ্ছে তাঁকে ভালোবাসতে। আমাদের যে বিনা স্বার্থে এতো দিচ্ছে আমরা তো ঋণি হয়ে যাচ্ছি তাঁর কাছে।কিন্তু ভগবান এতই করুণাময় যে এত কিছু ব্যবহার করার পর যে ঋণ তা শোধ করতে টাকার প্রয়োজন হয় না।কারণ ভগবানের টাকার প্রয়োজন নেই । তার কোন কিছরই অভাব নেই। তিনি শুধু আমাদের কাছে ভালবাসা চান। তাঁকে ভালোবাসলে, তাঁর সেবা করলে, তার নাম করলে, তাকে প্রীতির সহিত কিছু দান করলে। আমরা আমাদের সেইদিন থেকে মুক্ত হতে পারি।
তাই আমাদের সকলের উচিত সকলের সকল কিছুর জন্য ভগবানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা এবং তিনি আমাদের কাছে যা চান সে অনুসারে আমাদের কর্ম করা তবেই আমরা আমাদের আপনার প্রশান্তি দান করতে পারি ।